ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২/০১/২০২৫ ৭:০৬ এএম

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআন আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে বয়ান পেশ কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, আমরা দেখেছি ক্ষমতার যখন পালা বদল হয় তখন এক সরকার যায়, আরেক সরকার আসে। তখন আমরা দুর্নীতির ফিরিস্তি জানতে পারি, তার আগে কিন্তু জানতে পারি না। প্রতিটি দলের ভেতরে আমরা এই বাজে স্বভাবটা দেখেছি। তাই এখন আমাদের শুধরে নেওয়ার সময় এসেছে। এটাই সুন্দর সময়, নতুন প্রভাতের বাংলাদেশ, নতুন ভোরের বাংলাদেশে। এ সময় আমরা যেন কাদা ছোড়াছুড়ি না করি।

রাজনৈতিক দল প্রসঙ্গে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা বলেন, আমাদের শপথ নেওয়ার সময় এসেছে। নিবন্ধিত প্রতিটি দলের শপথ নেওয়া উচিত। আমরা আর কোনো দিন চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করবো না। সব সময় দেশের পক্ষে থাকবো।

যশোরের মাহফিলের একটি বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এই কথাগুলো ছিল খুবই সাধারণ। যে কথাগুলো আমরা জেনারেললি বলি সেগুলোকে জেনারেললি নেবেন। এই জাতীয় বার্তা যখন আমরা দেই, তখন যদি বলেন রাজনীতিতে আসেন, পারলে দল করে দেখান। আমি একজন মুফাসসিরে কোরআন এর বাইরে আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি একজন বাংলাদেশি নাগরিক। আমার দেশের যে কোনো সমস্যা ও অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার রয়েছে।

মাহফিলের শেষ দিনের পৃথক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের সভাপতি প্রফেসর মাওলানা সৈয়দ একরামুল হক ও আল্লামা ইসহাক আল মাদানী।

শেষ দিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও তাফসীর পেশ করেন আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মুফতি মাওলানা আমীর হামজা, শায়খ হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, শায়েখ আজমল মসরুর, মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী ও মাওলানা হাসানুল বান্না বিন শরিফ আব্দুল কাদির।

মাহফিলে প্রস্তাবনা পেশ করেন মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হাফিজ আব্দুল হাই হারুন।

পাঠকের মতামত